ময়মনসিংহ ডিবি অফিসে জামাই আদরে ফেন্সিডিল চিকিৎসক

5:52 AM |
ফেন্সিডিলসহ আটক হওয়া চিকিৎসক এজাজ আহমেদ ওরফে খান খোকনকে (৪২) ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অফিসে জামাই আদরে রাখা হয়েছে।

সেখানে চেয়ারে বসেই সিগারেট ফুঁকা, কোল্ড ড্রিংকস, কলা ও বিস্কুট খাচ্ছিলেন আয়েশি মুডে। পাশেই বসা ছিলেন ওই চিকিৎসকের এক আত্মীয় ও ডিবি পুলিশের এক সদস্য। স্বামীর এ পরিণতিতে সামনে দাঁড়িয়েই ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন চিকিৎসক ডা. রিফাত রহমান (স্ত্রী)। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি ক্ষেপে যান।

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহ শহরের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে কাগজের ঠোঙায় ভরা দু’বোতল ফেন্সিডিলসহ হাতেনাতে ধরা পড়েন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট এজাজ আহমেদ ওরফে খান খোকন।

ইতোপূর্বেও তিনি একইভাবে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বলে ডিবি পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র দাবি করেছে। আটক হওয়া চিকিৎসকের শহরের ৬ নম্বর মৃত্যুঞ্জয়ী স্কুল সংলগ্ন গ্লাসকো অফিসের খাইরুল আলম পলুর বাসায় ভাড়া থাকেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান জানান, আটককৃত চিকিৎসক এজাজ একজন নিয়মিত ফেন্সিডিলসেবি। তিনি নেশাগ্রস্ত।

সরেজমিনে ডিবি অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, দরজা বন্ধ করে ভেতরে বসে আছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মাজেদুর রহমান। পাশের দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায় ফুরফুরে মেজাজে অনবরত সিগারেট ফুঁকছেন আটক চিকিৎসক এজাজ।

চেয়ারে বসেই কোল্ড ড্রিংকস পানের পাশাপাশি কলা-বিস্কুট খাচ্ছেন। সাংবাদিক পরিচয়ে ক্যামেরা ক্লিক করতেই তিনি প্রথমে বাঁধা দেন। এ দৃশ্য দেখে দৌড়ে এগিয়ে আসেন তার স্ত্রী। তিনিও সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং প্রচণ্ড ক্ষেপে যান।

ফেন্সিডিলসহ এ চিকিৎসকের আটকের খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে ছুটে আসেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার। পাশের কক্ষে আটককৃত চিকিৎসক আয়েশি ভঙ্গিতে খানা-পিনায় ব্যস্ত থাকলেও দু’ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলে আলাপচারিতায় মগ্ন ছিলেন।

আটককৃত চিকিৎসক জামাই আদরে কেন? এ প্রশ্ন করতেই রীতিমতো ইতস্তত বোধ করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মাজেদুর রহমান। দ্বিতীয়বার এ প্রশ্ন করতেই তিনি একটু পরে আসার পরামর্শ দেন। পরে তিনি আটককৃত চিকিৎসককে তার কক্ষে আনতে দু’পুলিশ সদস্যকে নির্দেশ দেন।

মুঠোফোনে ওসি মাজেদুর রহমান জানান, আটককৃত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে কোর্টে পাঠানো হচ্ছে।
Read more…

শ্রমিকরা সন্তুষ্ট হলেই আমরা খুশি

5:49 AM |
পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজের পরিবেশ, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সন্তুষ্ট হলেই তারা খুশি বলে মন্তব্য করেছেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে তৈরি পোশাকখাতের বর্তমান অবস্থা ও রানা প্লাজা ধস-পরবর্তী কার্যক্রমের তথ্য উপস্থাপন উপলক্ষে সেমিনার শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্রুডেন এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি ও কারখানার মান উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। এ জন্য ১ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে কানাডা।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রিদ্দি, বিজিএমইএ সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, অর্থনীতিবিদ মামুন রশিদ  ও ১৫টি দেশের প্রতিনিধি।

আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রিদ্দি বলেন, রানা প্লাজা ধসে আহত ৩,৬৯০ জন শ্রমিকের প্রত্যেককে ১৫ থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ১৬ মিলিয়ন ডলার দেবে ট্রান্সফান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক ক্রেতা প্রাইমার্ক।

বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, পোশাক কারখানায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন, শ্রমিকদের স্বাস্থসম্মত কর্মপরিবেশ তৈরি করা, কারখানার মান উন্নয়ন করাই ব্যবসা টিকিয়ে রাখার বর্তমান চ্যালেঞ্জ।

রানা ধসের এক বছর পার হতে চললো। আমরা এই সময়ের মধ্যে আহত-নিহত শ্রমিকদের জন্য আমরা কী করতে পেরেছি! করার জন্য কী উদ্যোগ নিয়েছি! কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে! শেষ পর্যন্ত কী করতে পারবো এ সব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।

অর্থনীতিবিদ মামুন রশিদ বলেন, শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়ন ও ট্রেড ইউনিয়ন শক্তিশালী করা ছাড়া বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি সামাজিক ভারসাম্যের মধ্যে এ খাতের উন্নয়ন করতে।
Read more…

৪টি কন্টেইনার ভেসেল নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর

5:45 AM |
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি কন্টেইনার ভেসেল নির্মাণ করতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে কন্টেইনার ভেসেল নির্মাণ সংক্রান্ত দু’টি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র পক্ষে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী এম এ গফুর সরকার, খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের পক্ষে মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন এম এস করিম, চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেডের পক্ষে অতিরিক্ত প্রধান নৌ-স্থপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. সাঈদুর রহমান চুক্তিপত্রে  স্বাক্ষর করেন।

জানা যায়, চারটি কন্টেইনার ভেসেলের মধ্যে দু’টি কন্টেইনার ভেসেল খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এবং অপর দু’টি চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেড নির্মাণ করবে। ভেসেল চারটি নির্মাণে ২২ মাস সময় লাগবে।

চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, পরিচালক (কারিগরি) ড. জ্ঞানরঞ্জন শীলসহ সংশ্লিষ্টরা।
 
Read more…

দেড় কেজি ইলিশ ৬ হাজার টাকা! by মফিজুল সাদিক

5:41 AM |
প্রতিটি বাঙালির ঘরের দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। মাত্র দুই দিন, বর্ষবরণের ক্ষণ গণনা চলছে। চলছে বর্ষবরণের নানারকম প্রস্তুতিও। আবহমানকাল ধরে উদযাপিত হয়ে আসা পহেলা বৈশাখ উ‍ৎসবে পান্তা-ইলিশ যেন অবিচ্ছেদ্য উপকরণ। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, পান্তা-ইলিশ ছাড়া যেন বৈশাখী উৎসবই বৃথা।

ক্রেতার এই চাহিদাকে পুঁজি করে প্রতিবারের মতো এবারও হুট করে বেড়ে গেছে ইলিশের দাম। পহেলা বৈশাখের পাঁচ দিন আগেই ইলিশের পালে লেগে গেছে বৈশাখের উত্তাপ। বিক্রেতারা বলছেন, শনিবার ও রোববার ইলিশের দাম আরও বাড়বে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ীর কয়েকটি মাছের আড়তে দেড় কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের নিচ তলায় ‘আল্লাহর দান ফিস বিক্রয় কেন্দ্রে’ দেড় কেজি ওজনের একটি ইলিশ ছয় হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন দোকান মালিখ। এ ধরনের প্রতি হালি ইলিশ সেখানে ২৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আল্লাহর দান ফিস বিক্রয় কেন্দ্রের মালিক শুক্কুর আলী বাংলানিউজকে জানান, এক সপ্তাহ আগ থেকেই বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে। দেড় কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন ইলিশের মৌসুম নয়, কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় ইলিশের দাম বাড়তি।

শুক্কর আলী দাবি করেন, বড় ইলিশগুলো চাঁদপুর থেকে ঢাকায় এসেছে। বৈশাখী উৎসবে ছোট ইলিশও যেন ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশও ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের। নগরীর বাংলামটর থেকে কারওয়ান বাজারে ইলিশ কিনতে এসে যেন বিপাকে পড়েছেন। এ সময় তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বড় ইলিশের যে দাম, এবার মনে হয় পুঁটি মাছ দিয়ে পান্তা খেতে হবে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা ইলিশ বরিশাল, পাথরঘাটা, ভোলা এবং ফ্রিজিং ইলিশ চট্রগ্রাম ও খুলনা হয়ে নগরীতে প্রবেশ করছে। পাইকারি আড়তে দেখা গেছে, কাঁচা ইলিশের দামের তুলনায় ফ্রিজিং ইলিশের দাম অনেক কম।

তবে খুচরা বিক্রেতারা কাঁচা ইলিশের কথা বলে ফ্রিজিং ইলিশ বিক্রি করছেন। ফ্রিজিং ইলিশ মায়ানমার ও ভারত থেকে নগরীতে আসছে। আড়তগুলোতে কাঁচা ইলিশের আমদানি কম।

রাজধানীর সবচেয়ে বড় পাইকারি কারওয়ান বাজারের মাছের আড়তে দেড় কেজি আকারের প্রতিকেজি কাঁচা ইলিশ ২৭শ’ থেকে ২৮শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই আকারের ফ্রিজিং ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা কেজি দরে।

এখানে ১ কেজি থেকে ১২শ’ গ্রাম সাইজের প্রতিকেজি কাঁচা ইলিশ দুই হাজার এবং একই আকারের ফ্রিজিং ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা দরে।

৮শ’ গ্রাম থেকে ১ কেজি আকারের প্রতি কেজি কাঁচা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা দরে এবং ফ্রিজিং ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা দরে।

৬শ’ গ্রাম থেকে ৮ম” গ্রাম আকারের প্রতিকেজি কাঁচা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা দরে এবং ফ্রিজিং ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা দরে।

মাছের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে পাইকারি বিক্রেতা কারওয়ান বাজার মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের মৎস আড়তের মালিক ও ফিস মার্চেন্ট অ্যান্ড কমিশনের এজেন্ট মো. ওসমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সারা বছরই কম বেশি ইলিশের ব্যবসা করে থাকি। তবে বৈশাখের ৫ থেকে ৭ দিন ইলিশের চাহিদা অনেক থাকে। যার ফলে ইলিশের দাম বাড়তি হয় এসময়।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম ও খুলনা থেকে ফ্রিজিং মাছই বেশি আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়া, কাঁচা ইলিশ বরিশাল থেকে আমদানি করা হচ্ছে।

নগরীর যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তগুলোর মধ্যে রাজলক্ষী, দাদা ও ঢাকা মাছের আড়তে বরিশাল অঞ্চলের ইলিশ বেশি আমদানি হচ্ছে। তবে যাত্রাবাড়ী খান মৎস আড়তে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার অঞ্চলের মাছ বেশি আমদানি হচ্ছে।

শুক্রবার খান আড়তে দেড় কেজি ওজনের একটি কাঁচা ইলিশ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে, বিক্রেতারা বলছেন, শনিবার ও রোববারে ইলিশের দাম আরও বাড়বে।

মা মনি মৎস আড়তের মালিক বাবুল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমার আড়তে একটি ইলিশ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। বড় লোকদের হিসাব-কিতাব আলাদা।

এক কেজির ওজনের ওপরে হলেই ইলিশের দাম কয়েকগুণ বেশি। যাত্রাবাড়ীর মেসার্স মেঘনা এন্টারপ্রাইজের মালিক সহিদুল ইসলাম স্বপনও দেড় কেজি সাইজের একটি ইলিশ ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। আবার এককেজি সাইজের একহালি ইলিশ তিনি বিক্রি করেছেন ৬ হাজার টাকায়।

স্বপন বাংলানিউজকে জানান, কাঁচা ইলিশের আকার বড় ও সাদা চিকচিক করলে তার ক্রেতারা কিনে নেয়। বড় ইলিশ বিক্রি হয় মূলত ক্রেতার নজর কাড়ার ওপর ভিত্তি করে।

ঢাকা মহানগরের মধ্যে প্রায় ১০টি পাইকারি মৎস্য আড়ত রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে যাত্রাবাড়ী, সোয়ারীঘাট, কাওরানবাজার, নিউ মার্কেট, শাহ আলী, আব্দুল্লাহপুর, মুগদা, মেরুল বাড্ডা। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সবগুলো বাজারেই যেন ইলিশের দামের পালে বৈশাখী উত্তাপ লক্ষ্য করা গেছে।

যাত্রাবাড়ী মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজের মালিক ও ফিস মার্চেন্ট কমিশন এজেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বৈশাখের আগ মুহূর্তে ইলিশের দাম বৃদ্ধি বৈশাখী উৎসবের মতোই একটা চিরাচরিত প্রথায় পরিণত হয়েছে। এটা কমানোর ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই। তবে বৈশাখের পরে এমনিতেই ইলিশের দাম কমে আসবে।

তিনি জানান, যে পরিমাণ ইলিশ বাজারজাত হয়, তার থেকে কয়েকগুণ চাহিদা বেশি।

ক্রেতারা অনেক সময় কাঁচা ও ফ্রিজিং ইলিশ সনাক্ত করতে পারেন না। তবে, সচেতনভাবে একটু লক্ষ্য করলেই কাঁচা ও ফ্রিজিং ইলিশ চেনা যাবে। কাঁচা ইলিশ হাতে ওঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই বাঁকা হয়ে যাবে এবং সহজেই ইলিশের কান দেখা যাবে, অনেক সময় এসব ইলিশের কান দিয়ে রক্তও ঝরতে থাকবে।

অপরদিকে ফ্রিজিং ইলিশ হাতে ওঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই বাঁকা হবে না এবং শক্ত হয়ে থাকবে। এ ধরনের ইলিশের কান দেখার চেষ্টা করলে কান ভেঙ্গে যাবে এবং কানের মধ্যে কালচে রং দেখা যাবে।

অধিকাংশ ফ্রিজিং ইলিশ মায়ানমার থেকে আমদানি করা হচ্ছে বলে বাজার সূত্রে জানা গেছে।
Read more…

ক্রেতা শূন্যতায় হতাশ আজিজের বিক্রেতারা by ঊর্মি মাহবুব

5:01 AM |
পহেলা বৈশাখ আসলেই তরুণ-তরুণীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত আজিজ সুপার মার্কেটে। কিন্তু গত পাঁচ বছরের ঐতিহ্য এবার ভেঙে পড়েছে। ক্রেতা শূন্যতায় হতাশ হয়ে পড়েছেন বিক্রেতারা।

পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে আজিজ সুপার মার্কেটে অন্যানবার যে পরিমাণ ক্রেতার আগমন ঘটে; এবার তা ৫০ শতাংশের বেশি নিচে নেমে গেছে বলে জানান সোল স্টার’র ব্র্যান্ড ম্যানেজার আফজাল রনি।

তিনি বলেন, গত কয়েক মাস ধরে এ মার্কেটে ক্রেতা নেই বললেই চলে। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে আজিজ আবার পুরনো চেহারায় ফিরে আসবে বলে আশা করেছিলাম। তাতো হয়নি বরং সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকা সত্ত্বেও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কোনো বেচাকেনা হয়নি। শুধু সোল স্টারই নয়, একই কথা অন্যদেরও।

‘আন’র কর্ণধার আজাহার মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর পহেলা বৈশাখের আগে প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকার পোশাক বিক্রি করেছি। এবার তার ১০ ভাগের এক ভাগও করতে পারিনি। শুক্রবার যেখানে প্রচুর বিক্রি হয়, সেখানে আজ সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মাত্র তিনটা পাঞ্জাবী বিক্রি হয়েছে। লাভতো দূরের কথা, দোকান ভাড়ার খরচই উঠছে না।

ক্রেতা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে আফজাল রনি বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মানুষ যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তার প্রভাব এখনো কাটেনি।  অর্থসঙ্কটের কারণেই মানুষ শপিংয়ের দিকে নজর দিতে পারছেন না।

তবে পোশাকের বাড়তি দামের কারণেই আজিজ সুপার মার্কেটের ক্রেতা কমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

দেশালে পাঞ্জাবী কিনতে আশা ক্রেতা ইশরাত হক বলেন, ছোট ভাইয়ের জন্য পাঞ্জাবী কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু এখানে যে পাঞ্জাবীর দাম হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা তার মান খুব একটা ভালো নয়। একই দামে আড়ং বা অন্য কোথাও থেকে এর চেয়ে ভালো মানের পাঞ্জাবী কিনতে পারবো।

আজিজ সুপার মার্কেটে ছাত্র-ছাত্রীরা বেশি আসার কারণ ছিল পেশাকের সুলভ মূল্য। এখন যে হারে দাম বেড়েছে তাতে আর আস‍া সম্ভব হচ্ছে না। তাই এমন অবস্থা বলে মন্তব্য করেন ইশরাত।

আজিজ সুপার মার্কেটে টি-শার্ট কিনতে গড়ে খরচ পড়ে সাড়ে তিনশ’ টাকা থেকে সাতশ’ টাকা। পাঞ্জাবীর দাম পড়ে হাজার থেকে দুই হাজার টাকা।

তরুণীরা আজিজের শো-রুমগুলোতে হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে শাড়ি কিনতে পারবেন। এসব শাড়ির মধ্যে রয়েছে কোটা, সিল্ক, সুতি, জামদানি।

কেউ ইচ্ছে করলে থ্রিপিছও কিনতে পারবেন। দাম নয়শ’ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। তাছাড়া মেয়েদের কুর্তা বা টপস ক্রয়ে খরচ করতে হবে সাড়ে সাতশ’ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা।
Read more…

সহিংসতা চালাতে অজুহাত হিসেবে হরতাল

5:00 AM |
দেশে সহিংসতা চালানোর জন্য হরতালকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি সংগঠন গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষা পর্ষদের আহ্বায়ক খুশি কবির।

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপ লাউঞ্জে হরতালের নীতিমালা ও আইন বিধান প্রণয়ন শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বেসরকারি সংগঠন গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষা পর্ষদ এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সংগঠনের আহ্বায়ক খুশি কবির বলেন, হরতালকে একটা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সহিংসতা চালানো হচ্ছে। হরতাল ডাকা হচ্ছে একদিন আর হামলা শুরু হয় তার আগের দিন। এটা একটা স্ববিরোধী আচারণ।

তিনি বলেন, হরতাল মানুষের কল্যাণের জন্য। কিন্তু সেটা যদি মানুষের মাঝে অকল্যাণ বয়ে আনে তাহলে অবশ্যেই এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

গোলটেবিল আলোচনায় আলোচকের বক্তব্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, হরতালের মাঝে অসুস্থ রাজনীতির চর্চা দেখা যায়। শুধু হরতালের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে রাজনীতি আচরণের ওপর একটা নির্দিষ্ট নীতিমালা করা উচিত। শুধু হরতাল নিয়ে কাজ করা হলে রোগের সিনড্রোম নিয়ে কাজ করা হবে। হরতালে অংশগ্রহণ ও বিরোধীতা তা যেন স্বেচ্ছাপ্রণীত হয়। এটা যেন চাপিয়ে দেওয়া না হয়।

হরতালের ফলে সহিংসতা হওয়ার কারণে তরুণ প্রজন্মদের মাঝে রাজনীতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দোষটা আসলে হরতালের না। দোষটা হলো হরতালের অপব্যবহারের। হরতালকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সহিংসতা তরুণ প্রজন্মের মাঝে রাজনীতি ও হরতাল সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের রাজনীতির কাছ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা।

যারা হরতাল করে ও আবার যারা প্রতিরোধ করে তারাও সহিংসতা চালায়। ফলে রাজনীতিটাই একটা সহিংসতায় পরিণত হয়। এর মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও এর মধ্যে ঢুকে যায়।

তিনি আরও বলেন, অবশ্যই শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানকে হরতালের আওয়াতমুক্ত রাখতে হবে।

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, হরতাল একটা প্রতিবাদ কিন্তু এটাকে সামনে রেখে সহিংসতা চালানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে দেশের উন্নয়নের জন্য হরতাল ডাকা হচ্ছে। কিন্তু দেশের গাড়ি, রেল পুড়িয়ে হরতালের চেয়ে অন্যায় দাবি আর কিছু হতে পারে না। আমি তো রাস্তার উল্টো দিকে গাড়ি চালিয়ে হরতাল চালাতে পারবো না।

তিনি বলেন, যখন কোনো রাজনৈতিক দল পরাজিত হয় তখন সেই দলটি যে ভোট পায় সেটাই আসল ভোট। দেখা যায়, শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ পর‌্যালোচনা করে ভোট দেয়। কিন্তু তাদের চিন্তা চেতনার কথা কেউ ভাবেন না।

ব্যারিস্টার জোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, হরতাল সংশ্লিষ্ট সরাসরি আইন নেই। তবে সহিংসতা সম্পর্কে আইন রয়েছে। আমাদের কাছে যে আইন রয়েছে তা হরতাল প্রতিরোধে যথেষ্ট নয়। কোনো রাজনৈতিক দলই সহিংসতা কম করেনি। আমার গণতান্ত্রিক অধিকার কোনটি আর সহিংসতা সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া দরকার।

গোলটেবিলের শুরুতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সদস্য সচিব অনন্ত আহম্মেদ। এতে তিনি হরতালের ইতিহাস, পূর্ব পাকিস্তানের হরতাল, স্বাধীন বাংলাদেশে হরতাল, হরতালের নেতিবাচক প্রভাব, হরতালের অন্যান্য ক্ষতিকর দিক, হরতালের সহিংসতা, জাতীয় সংসদে হরতাল সম্প‍ৃক্ত বিল, গণতন্ত্র ও বাংলাদেশ, হরতাল ও আন্তর্জাতিক আইন, বাংলাদেশের সংবিধান, হরতাল সম্পর্কে জনসাধরণের মতামতসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

মূল বক্তব্যে তিনি জানান, হরতাল একটি মৌলিক অধিকার এবং হরতালকে কিছুতেই অবৈধ ঘোষণা করা যাবে না। একই সাথে হরতালের সহিংসতা বন্ধের জন্য একটি নীতিমালা ও আইনি বিধান কাঠামো করা অত্যন্ত যৌক্তিক এবং সাংবিধানিক ভাবেই করা সম্ভব এবং তা গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকারকে খর্ব করবে না বরং সমৃদ্ধ করবে। হরতালের সহিংসতার দায়িত্ব নিতে হবে হরতাল আহ্বানকারীকে। হরতালের দাবি হতে হবে জাতীয় স্বার্থে।

মূল বক্তব্যে আরও ‍উল্লেখ করা হয়, হরতাল সম্পর্কিত প্রস্তাবিত নীতিমালা তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠিত এ গোলটেবিল আলোচনায়। নীতিমালার মধ্য অন্যতম হলো হরতাল ডাকার আগে জনগণকে হরতালের দাবি সম্পর্কে জানানো, জনমত গঠন, হরতালের প্রচার ও জনগণের স্বাভাবিক জীবনের প্রস্তুতির জন্য কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। অনুষ্ঠানে হরতালের বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও উল্লেখ করা হয়।
Read more…

১৮ এপ্রিল গণজাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভ

4:58 AM |
১৮ এপ্রিল গণজাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবশে অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার বিকেলে এক জরুরি ‍সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।

সাম্প্রতিককালে কয়েকদফা মঞ্চের কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইমরান এইচ সরকার জানান।
Read more…