পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কাজের পরিবেশ, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সন্তুষ্ট হলেই তারা খুশি বলে মন্তব্য করেছেন কানাডিয়ান হাইকমিশনার হিদার ক্রুডেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে তৈরি পোশাকখাতের বর্তমান অবস্থা ও রানা প্লাজা ধস-পরবর্তী কার্যক্রমের তথ্য উপস্থাপন উপলক্ষে সেমিনার শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ক্রুডেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি ও কারখানার মান উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। এ জন্য ১ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে কানাডা।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রিদ্দি, বিজিএমইএ সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, অর্থনীতিবিদ মামুন রশিদ ও ১৫টি দেশের প্রতিনিধি।
আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রিদ্দি বলেন, রানা প্লাজা ধসে আহত ৩,৬৯০ জন শ্রমিকের প্রত্যেককে ১৫ থেকে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ১৬ মিলিয়ন ডলার দেবে ট্রান্সফান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক ক্রেতা প্রাইমার্ক।
বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, পোশাক কারখানায় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন, শ্রমিকদের স্বাস্থসম্মত কর্মপরিবেশ তৈরি করা, কারখানার মান উন্নয়ন করাই ব্যবসা টিকিয়ে রাখার বর্তমান চ্যালেঞ্জ।
রানা ধসের এক বছর পার হতে চললো। আমরা এই সময়ের মধ্যে আহত-নিহত শ্রমিকদের জন্য আমরা কী করতে পেরেছি! করার জন্য কী উদ্যোগ নিয়েছি! কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে! শেষ পর্যন্ত কী করতে পারবো এ সব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
অর্থনীতিবিদ মামুন রশিদ বলেন, শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়ন ও ট্রেড ইউনিয়ন শক্তিশালী করা ছাড়া বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি সামাজিক ভারসাম্যের মধ্যে এ খাতের উন্নয়ন করতে।
Comments[ 0 ]
Post a Comment